Create an Account

করোনা প্রতিরোধে কেন, কীভাবে ও কখন মাস্ক পরবেন?

March 22, 2020

নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি জনপরিসরে ছড়িয়ে পড়লে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলেই মাস্কের সংকট দেখা দিয়েছিল। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর দামও অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল। আসুন জেনে নিই মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কী বলছে?

কখন ও কেন মাস্ক ব্যবহার করবেন
* নিজে সুস্থ থাকলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বা সন্দেহ করা হচ্ছে—এমন ব্যক্তির শুশ্রূষা করার সময়ই শুধু আপনার মাস্ক পরার প্রয়োজন রয়েছে।
* হাঁচি বা কাশি থাকলে মাস্ক ব্যবহার করুন, যেন আপনার শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে তা অন্যদের মধ্যে না ছড়ায়।
* মাস্ক ব্যবহার তখনই কার্যকর, যখন আপনি অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব (বাজারে থাকা সাধারণ হেক্সিসল বা অনুরূপ পণ্য) বা সাবান-পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত পরিষ্কার করেন।
* মাস্ক ব্যবহার করতে হলে এর ব্যবহারবিধি জেনেই করা উচিত।

কীভাবে ব্যবহার করবেন
* মাস্ক পরার আগে হাত (সাবান-পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড বা হ্যান্ড রাব দিয়ে) পরিষ্কার করে নিন।
* মাস্ক পরার সময় এর সামনের অংশ ধরবেন না।
* নাক ও মুখ মাস্ক দিয়ে ঢেকে ফেলুন এবং মনে রাখবেন, মুখ ও মাস্কের মধ্যে যেন কোনো ফাঁকা স্থান না থাকে।
* ব্যবহারের সময় মাস্ক স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। আর যদি স্পর্শ করেন, তবে হাত (সাবান-পানি দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড বা হ্যান্ড রাব দিয়ে) পরিষ্কার করে নিন।
* ব্যবহৃত মাস্কটি আর্দ্র বা ভেজা বা স্যাঁতসেঁতে মনে হওয়ামাত্রই তা বদলে ফেলুন। ডিসপোজিবল বা একবার ব্যবহারের জন্য তৈরি মাস্ক বারবার ব্যবহার করবেন না।
* মাস্ক অপসারণের সময় এর সামনের অংশ স্পর্শ করবেন না। মাস্ক খুলে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে তা ঢাকনা দেওয়া ময়লার বাক্সে ফেলুন।
* মাস্ক অপসারণের পর হাত পরিষ্কার করে নিন।

Continue Reading 1 Comment

গরমে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে পাঁচ পরামর্শ ?

March 7, 2018

হিটস্ট্রোক একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। এটি গরমের সময় হয়। খুব গরমে তাপ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অকার্যকর হয়ে দেহের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে চলে গেলে একে হিট স্ট্রোক বলে।

মাথাব্যথা, মাথাঘোরা, দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস, পর্যাপ্ত ঘাম না হওয়া, বমি ও বমি বমি ভাব, হাঁটতে অসুবিধা, দ্রুত হৃদস্পন্দন ইত্যাদি হিট স্ট্রোকের লক্ষণ। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু বিষয় জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

১. পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করুন। এ ছাড়া জুস, ডাবের পানি, লেবু পানি ইত্যাদি পানীয় জাতীয় খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন।

এসব খাবার শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। এতে অবসন্নভাব, বমি, ক্লান্তি প্রতিরোধ হয়।

২.  সহজপাচ্য খাবার খান

গরমের সময় খাদ্যতালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখুন। অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, চর্বি জাতীয় খাবার শরীরের তাপ বাড়ায়। তাই এমন খাবার খান যেগুলো শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে। এ সময় খাদ্য তালিকায় সবজি ও মৌসুমি ফল বেশি করে রাখুন।

৩. পকেটের মধ্যে পেঁয়াজ রাখুন

কথাটি শুনে হাসি পাচ্ছে? আসলে মজার বিষয় হলো, পকেটের মধ্যে পেঁয়াজ রাখলে এটি শরীরের তাপ শোষণ করতে সাহায্য করে এবং শরীরের তাপামাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি আপনাকে দুর্বিষহ গরম থেকে রক্ষা করবে।

৪. পেঁয়াজ খান

গরমের সঙ্গে লড়াই করতে পেঁয়াজ খুব উপকারী খাবার। পেঁয়াজ, বিশেষ করে লাল পেঁয়াজের মধ্যে কুয়ারসেটিন নামক উপাদান রয়েছে। এটি আমাদের শরীরকে প্রশমিত করে এবং হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৫. হালকা রঙের পোশাক পরুন

অতিরিক্ত গরমের সময় কালো বা খুব গাঢ় রঙের পোশাক না পরাই  ভালো।  কারণ, গাঢ় রঙের পোশাক তাপ বেশি শোষণ করে, আর হালকা রঙের পোশাক তাপ প্রতিফল করতে সাহায্য করে। তাই এ সময়  হালকা রঙের, সুতি কাপড়ের পোশাক পরুন। এতে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে।

Continue Reading No Comments

কোলেস্টেরল বাড়ার ঝুঁকি কাদের বেশি?

March 7, 2018

কোলেস্টেরল একটি চর্বি জাতীয় উপাদান। রক্তে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে রক্তনালিতে ব্লক হয়। এতে উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

রক্তে বাজে কোলেস্টেরল বাড়ার প্রবণতা কাদের বেশি, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৪২৭তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. তৌফিকুর রহমান। বর্তমানে তিনি কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কার্ডিওলজি বিভাগে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।

প্রশ্ন :  কোলেস্টেরল বাড়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কারা ?

উত্তর : যাদের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে, যাদের পরিবারে কোলেস্টেরল হওয়ার ঝুঁকি বেশি রয়েছে, তাদের এই সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি বেশি। আরেকটি বিষয় রয়েছে। অনেকের দেখবেন, চোখের কোণায় সাদা সাদা দেখা যায়। তাদের ক্ষেত্রে দেখতে হবে কোলেস্টেরল বেশি রয়েছে কি না। আবার যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের কিন্তু শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি হচ্ছে।

এই প্রসঙ্গে একটু বলে রাখি, রক্তে কোলেস্টেরল হলো চার ধরনের। একটি হলো টোটাল কোলেস্টেরল, আরেকটিকে হলো, – লো ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এলডিএল (একে খারাপ কোলেস্টেরল বলা হয়), আরেকটি হলো, হাইডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন বা এইচডিএল (একে ভালো কোলেস্টেরল বলা হয়)। চার নম্বর হলো, ট্রাইগ্লিসারাইড। এখন এই চারটি কোলেস্টেরলের মধ্যে তিনটি ক্ষতিকর। আরেকটি ভালো।

এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খারাপ হলো এলডিএল। এর যদি মাত্রা বেশি থাকে, তাহলে চর পড়া বা ব্লক হওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

এই এইচডিএল কী করে? রক্ত পরিষ্কার করে। এইচডিএল রক্ত থেকে বাজে কোলেস্টেরলটা শোষণ করে নিয়ে যায়।

Continue Reading No Comments
Back to Top
Shop Now? On whatsapp